নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার একটি স্বনামধন্য বিদ্যালয় শালবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়।যেখান থেকে শিক্ষা অর্জন করে আজ অনেকেই সু-প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।আজ শালবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের পুরাতন স্মৃতিকে মনে করতে এসএসসি ১৯৯৯ ব্যাচ পূনর্মিলনী অনুষ্ঠান করলেন।এতে উপস্থিত ছিলেন অত্র বিদ্যালয়ের নব নিযুক্ত সভাপতি জনাব এম,আল মাহমুদ সহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বৃন্দ,প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ আহসান হাবিব এছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন সহকারী শিক্ষক/শিক্ষিকা ও কর্মচারী বৃন্দ।প্রাক্তন ছাত্র/ছাত্রীরা তাদের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য প্রধান শিক্ষককে ক্রেষ্ট প্রদান করেন এবং সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক প্রক্তন ছাত্র/ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন।প্রাক্তন ছাত্র/ছাত্রীরা তাদের পূরনো স্মৃতি গুলো একে অন্যের সাথে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাঝে পেশ করে আনন্দ উপভোগ করেন।বক্তব্যের মাঝেই বিদায়ী ছাত্র ড. জনাব মোঃ মাহতাব আলী বলেন,অনেক পুরাতন স্মতি গুলো এখনো হৃদয়পটে ভাসে তিনি মরহুম জনাব মোঃ আক্কাস আলী স্যারের কিছু কথা বললেন এবং আল্লাহর দরবারে দোয়া করলেন স্যারকে যেন যেন আল্লাহ বেহেশত নসিব করেন।বক্তব্যের মাঝে একেক জন এক একটি প্রতিভা তুলে ধরার চেষ্টা করেন মূলেই শুধু আনন্দ।সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জনাব মোঃ সাদেকুল ইসলাম।সবশেষে তিনি বলেন এরকম অনুষ্ঠান মাঝে মধ্যে করা দরকার তাতে বন্ধুত্বের সম্পর্ক অটল থাকবে ইনশাআল্লাহ।
শিক্ষা জীবনে মাধ্যমিক এমন এক স্তর মাধ্যমিক গন্ডি পার হবার পর একজন ছাত্র যতই শিক্ষা অর্জন করুক না কেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জীবন বার বার দোলা দেয়।এ জীবনে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে থাকে।ছাত্র জীবনে এমন কোন স্তর নেয় যপখানে ছাত্র/ছাত্রী নির্দিষ্ট নিয়ম শৃংখলার মধ্যে থাকে।কিন্তু মাধ্যমিক জীবন এমন এক জীবন সব কিছুই নিয়ম-শৃংখলার মধ্যে জীবন অতিবাহীত করতে হয়।ড. মোঃ মাহতাব উদ্দিন বলে গেলেন গুলি খেলার উদাহরণ টেনে গেলেন।
ছাত্র/ছাত্রীরা বক্তব্যে বলেন আমাদেরকে যারা শিক্ষা দিয়েছেন তাদের মধ্যে কিছু শিক্ষক মূত্যু গ্রহন করেছেন আল্লাহ তাদেরকে হেফাজত করুন।বিশেষ করে মরহুম জনাব মোঃ আক্কাস আলী স্যার,মরহুম জনাব মোঃ ময়েজ উদ্দীন স্যার,মরহুম মোঃ ওমর আলী স্যার, জনাব মোঃ মুনসুর আলী স্যার,জনাব মোঃ মাবুদ বকস,এছাড়া জনাব মোঃ মতিউর রহমান স্যার,জনাব মোঃ ফইমুদ্দীন স্যার,জনাব মোঃ তাবারক আলী স্যার,জনাব মোঃ তছির উদ্দীন (অফিস সহকারী) তাদের কড়া শাসন বার বার মনে করিয়ে দেই শিক্ষা জীবনের জীবন।তাদের কড়া শাসন যদি না থাকত তাহলে হয়তবা আমরা আমাদের জীবন প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারতাম না।
অনুষ্ঠান শেষে স্যাররা যারা মূত্যু বরন করছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও যে শিক্ষকগণ বেঁচে আছেন তাদের দির্ঘায়ু কামনায় সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।