বিগত দিনে দ্বীপ জেলা ভোলার কিছু কিছু নৌ রুটে সারা বছর অশান্ত এলাকাগুলোতে সরকারি নিয়ম নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে নিজের খেয়াল খুশিমতো বে-ক্রস সার্টিফিকেট বিহীন ক্ষুদ্রাকৃতির এমএল শ্রেনীর লঞ্চ চালাচলে সহযোগীতা করেছেন ভোলা বিআইডব্লিউটিএ’এর সহকারী পরিচালক মোঃ রিয়াদ হোসেন। বর্তমানে গত ১৫মার্চ থেকে সরকার ভোলার কিছু কিছু নৌ-পথ ডেঞ্জার জোন ঘোষণা করলেও এ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে অবৈধ ধান্দায় ব্যস্ত সময় পার করছেন এ দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা। অন্যদিকে রক্ষক যখন ভক্ষকের ভূমিকা পালন করে! সূ্ত্রে জানাগেছে, রিয়াদকে ম্যানেজ করে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে ভোলা বিআইডব্লিউটিএর অফিস সহকারী জিহাদুল ইসলাম তার ভাই মাহমুদুল ইসলামকে দিয়ে অবেদন করিয়ে মা নাজমা বেগমের নামে মেসার্স নাজমা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি লঞ্চ সার্ভিসের রুট পারমিট নিয়েছেন। যা সম্পুর্ন বে-আইনি।
অন্যদিকে লঞ্চ মালিকদের থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সারা বছর অশান্ত নৌ-পথ সাগর দ্বীপ ঢালচর কে মৌসুমী শান্ত দেখিয়ে ১৫ই মার্চ হতে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত চলাচল বন্ধ রাখার শর্তে ঢালচর - কচ্ছপিয়া নৌ-পথে এম,এল,আল মুবীন এবং চর কুকরী মুকরী- কচ্ছপিয়া ১ এম,এল রিতু ২ এম,এল ফাহিম তুষার নামক লঞ্চগুলোকে রুট পারমিট দিয়েছে ভোলা নৌ-বন্দরে সহকারী পরিচালক রিয়াদ হোসেনের সুপারিশে। নিয়মানুযায়ী ১৪ মার্চের পর এসকল রুট সহ কচ্ছপিয়া - চর মন্তাজ রুটে চলাচলকারী লঞ্চ গুলোর চলাচল বন্ধ করে দেয়ার কথা থাকলেও কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি ভোলা নৌ-বন্দরের এই অসাধু কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে ভোলার গণমাধ্যম কর্মীরা মোবাইল ফোনে তার বক্তব্য জানার জন্য একাধিকবার ফোন করলেও সে ফোন রিসিভ করে না।এমনকি তার অফিসে গেলেও তাকে পাওয়া যায় না। জানাগেছে, সাংবাদিকদের এড়ানোর জন্য অনেক সময় সে অফিসের ভিতরে থেকে বাহির থেকে গেটে তালা মেরে রাখে। বিগত দিনে রিয়াদ হোসেনের দূর্ণীতির ব্যাপারে বিভিন্ন গণমাধ্যমে একাধিকবার নিউজ প্রকাশ করলেও এখন পর্যন্ত এ বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য এগিয়ে আসেনি এ বিভাগের কোন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
সূত্রে জানাগেছে, সম্প্রতি ভোলার চরফ্যাশনে নৌপথে চলাচলের জন্য মায়ের নামে একটি লঞ্চের রুট পারমিট নেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে ভোলা বিআইডব্লিউটিএর অফিস সহকারী জিহাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। জিহাদুল ইসলাম ভোলা বিআইডব্লিউটিএর অফিস সহকারী এবং চরফ্যাশন উপজেলার চরকলমি ইউনিয়ন মাঝেরচর গ্রামের জাহাঙ্গীর সিকদারের ছেলে।
ঢাকা বিআইডব্লিউটিএর অফিস সূত্র জানা যায়, বিআইডব্লিউটিএ’র কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামে-বেনামে নৌপথে চলাচলের জন্য কোনো ধরনের লঞ্চের রুট পারমিট নেয়া যাবে না।
এদিকে সেই নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে ভোলা বিআইডব্লিউটিএর পোর্ট অফিসার রিয়াদকে ম্যানেজ করে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে বিআইডব্লিউটিএর অফিস সহকারী জিহাদুল ইসলাম তার ভাই মাহমুদুল ইসলামকে দিয়ে অবেদন করিয়ে মা নাজমা বেগমের নামে মেসার্স নাজমা এন্টারপ্রাইজ একটি লঞ্চ সার্ভিসের রুট পারমিট নিয়েছেন। যা সম্পুর্ন বে-আইনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চরকলমি মাঝেরচর গ্রামের জাহাঙ্গীরের ছেলে জিহাদুল ইসলাম ভোলা বিআইডব্লিউটিএর অফিস সহকারী হওয়ায় তার ভাই মাহমুদুল হাসানকে দিয়ে ভোলা বিআইডব্লিউটিএর অফিসের অবেদন করিয়ে চরকলমি-চরমনোহর, ভায়া সিকদার চরের নৌ পথে চলাচলের জন্য নাজমা আক্তার এন্টারপ্রাইজ, এমভি মেহরিন সাফওয়ান ( এম-০১-১৬৬৪১) এর একটি লঞ্চ সার্ভিস(জাহাজ) চালু করেছেন। বেআইনি ভাবে আমরা আবেদন করলেও তা পাইনি। আর ভোলা অফিস থেকে আমাদেরকে অনুমোদন দেয়নি।
তারা জানান, অফিস সহকারী জিহাদুল ইসলাম মোটা অঙ্কের টাকার মাধ্যমে এই অনুমোদন নিয়েছেন। আমরা জিহাদুল ইসলামের মা নাজমা বেগমের নামে লঞ্চ সার্ভিসটির পারমিট বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। সেই সাথে দাবি জানাচ্ছি যারা প্রকৃত লঞ্চ রুট পারমিট পাবে তাদেরকে দেয়া হউক।
এ বিষয় ভোলা বিআইডব্লিউটিএর অফিস সহকারী জিহাদুল ইসলামকে ফোন দেয়া হলে সাংবাদিক পরিচয় দেয়া মাত্র সে ফোন কেটে দেন আর রিসিভ করননি।