অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবীতে ৩ গ্রামের মানুষের মানববন্ধন কর্মসূচি করা হয়।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার জসমতপুর গ্রামের পাশ ঘেঁষে ধলাই নদী থেকে একটি কুচক্রী মহল অবৈধভাবে নিয়মবহির্ভূত অনবরত বালু উত্তোলন করে আসছে। নদীভাঙনের কবল থেকে বসতবাড়ি ও কৃষি জমি রক্ষায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবী করায় গ্রামবাসীকে হুমকি দেয় ঐ বালু খেকো কুচক্রীমহল। তার প্রতিবাদে ৩ গ্রামের মানুষজন ঐক্যবদ্ধ হয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের পশ্চিম জসমতপুর এলাকায় এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেয় জসমতপুর, দক্ষিণ ধর্মপুর, পাথরটিলা ও কালাছড়া গ্রামের প্রায় ৫ শতাধিক মানুষ।
বিক্ষোভ অনুষ্ঠানে সমাজসেবক আইয়ুব আলীর সভাপতিত্বে এবং নজরুল ইসলামের উপস্থাপনায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ব্যবসায়ী কামাল মিয়া, আব্দুর রউফ, আজাদ মিয়া, নাসির মিয়া, আমির আলী, তাহির মিয়া, জুয়েল মিয়া, হৃদয় মিয়া প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘প্রভাবশালী ইজারাদার লোকজন নিয়মবহির্ভূতভাবে জসমতপুর মৌজায় ড্রেজার মেশিন বসিয়ে নদীর তলদেশ থেকে ভূগর্ভস্থ ভেদ করে দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করছেন। এতে নদী তীরবর্তী হাটবাজার, একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ফসলি জমি ও বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। শিগগিরই অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করা না হলে আসছে বর্ষায় নদী রক্ষা বাঁধ ভেঙে বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে একাধিক অভিযোগ করার পরও কোনো প্রতিকার পায়নি গগ্ৰামবাসী।'
মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ধলাই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে নদী তীর রক্ষা বাঁধ, ফসলি জমি, ঘরবাড়ি ধলাই নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘এই এলাকার শিবলু খানঁ, রকি, সুয়েব মিয়া ও ইসমাইল মিয়া এখান থেকে বালু উত্তোলন করছেন। তারা আমাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে যে গাড়ি চাপা দিয়ে মেরে ফেলবে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
অধৈভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগের বিষয়ে ব্যবসায়ী সুয়েব মিয়া ও ইসমাইল মিয়া বলেন, ‘আমাদের বিষয়ে তারা যে বক্তব্য দিয়েছে সব মিথ্যা। আমরা বালুর সাথে জড়িত নই ও কাউকে হুমকি ও দেইনি।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাখন চন্দ্র সূত্রধর বলেন, অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করা হয়েছে। ৩ টি বালু তোলার ড্রেজার মেশিন জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ও জরিমানার ভয়ে কেউ ড্রেজার মেশিনগুলোর মালিকানা দাবী করছে না। তিনি আরও জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং অবৈধ বালু উত্তোলনের কারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।