ভারতে ইসলাম ধর্ম ও রাসূল (সাঃ)-কে নিয়ে বিতর্কিত ব্যক্তি রামগিরি মহারাজ ও রূপসায় অন্তর বৈরাগী কর্তৃক কটূক্তি করার প্রতিবাদ জানাই বাংলাদেশের তৌহিদ জনতা।
যারা হযরত মোহাম্মদ (সঃ) নিয়ে খারাপ মন্তব্য তারা কোন ধর্মের নয়।মুসলমান তথা গোটা জাহান যাকে সম্মান করেন।মুসলিম জাহানের যিনি হৃদয়ের স্পন্দন যাকে সৃষ্টি না করলে এ পৃথিবী নামক গ্রহকে আমরা পেতাম না তাকে অসম্মান মন্তব্য যিনি করছেন তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করা হোক তাহলে কোন মানুষ আর এ রকম মন্তব্য করা দূরে থাক কথা বলার মতো সাহস পাবে না।
প্রায় শোনা যায় ভারতীয় রাষ্ট্র থেকে হযরত মোহাম্মদ (সঃ) নিয়ে খারাপ মন্তব্য করেন।যদি আপনাদের সনাতন ধর্ম গ্রহনযোগ্য হয় তাহলে মানুষ আপনাদের ব্যবহারে আপনাদের দলভুক্ত করতে পারবেন।কিন্তু আপনারা এত নিকৃষ্ট জাতি হিসাবে গণ্য হয়েছেন এ রকম একজন মহামানব কে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করেন।মুসলিম জাতি আপনাদের এমন তো কোন ক্ষতি করেনি তাহলে কেন মুসলিম জাতির হৃদয়টাকে ক্ষত বিক্ষত করছেন।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সঃ) তিনি তো কোন জাতির হয়ে প্রেরন হননি।তিনি সকল জাতির।হযরত মোহাম্মদ (সঃ) তার ব্যবহার দেখে অনেক মানুষ আল্লাহর মনোনিত ধর্ম ইসলাম এর আকৃষ্ট হয়ে ইসলাম ধর্মে দিক্ষিত হয়েছেন।মক্কার কাফেররা ইসলাম ধর্ম গ্রহন না করলেও তারা তাকে আল্ আমিন বলে ডাকতেন।তাদের মনে একটা বিশ্বাস ছিল আবদুল্লাহর ছেলে মোহাম্মদ (সঃ) কোনদিন মিথ্যা কথা বলেন না।
এ কারনে সকল মানুষ ন্যয্য বিচারের আশায় মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সঃ) কাছে যেতেন আর ভারতীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা কি এমন কাফের,যে কাফেরদের কাছে ভারতীয়রা কিছুই না।মক্কার শ্রেষ্ট কাফেররা ও হযরত মোহাম্মদ (সঃ) নিয়ে কোন খারাপ মন্তব্য করেননি।হজরত মোহাম্মদ (সঃ) মক্কার কাফেরদের কাছে অপরাধ ছিল ইসলাম ধর্ম প্রচার।
ভারতীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মনে রাখা দরকার "আল্লাহ ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না”।ভারতীয় প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আপনি এ নাস্তিকের বিচার করবেন নইলে এ মুসলমান জাতি ছেড়ে দিবে না।ভারতীয় স্বাধীনতা রক্ষার জন্য যেভাবে মুসলমানরা অকাতরে প্রান বির্সজন দিয়েছিল এ মুসলমানরা আবার ও হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখতে প্রান বিসর্জন দিতে দিধা করবে না।