বরগুনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে সমন্বয়ক রেজাউল করিমসহ চারজনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। হামলার জন্য দায়ী করা হয়েছে আরেক সমন্বয়ক মীর নীলয় ও মুহিত নীলয়ের নেতৃত্বাধীন গ্রুপকে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে বরগুনা পৌর শহরের কাঠপট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সদর থানায় দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের সফর সামনে রেখে বরগুনার স্থানীয় সমন্বয়ক রেজাউল করিমের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) সঙ্গে বৈঠক করতে যায়। বৈঠকের কিছুক্ষণ পর মীর নীলয় ও মুহিত নীলয়ের নেতৃত্বে অন্য একটি গ্রুপ সেখানে উপস্থিত হয় এবং উভয় পক্ষের মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়।
বৈঠকের পর কাঠপট্টি এলাকায় রেজাউল করিমের গ্রুপ পৌঁছালে মীর নীলয়ের গ্রুপ অতর্কিতে হামলা চালায়। এতে রেজাউল করিমসহ চারজন আহত হন। আহতদের মধ্যে রেজাউল করিম ও আরিফকে বরগুনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, বাকি দুজন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছেন।
হামলার বিষয়ে রেজাউল করিম বলেন, "ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে ছাত্রলীগ কর্মীরা আমাদের আন্দোলনে ঢুকে পড়ে এবং আমাদের ওপর হকিস্টিক নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায়।" তিনি আরও দাবি করেন, হামলার সঙ্গে মীর নীলয়, মুহিত নীলয়, সাজিদ, মাহিদ, ও মুভিন জড়িত।
তবে মীর নীলয় ও মুহিত নীলয় এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাদের বক্তব্য, "মারধরের কোনো প্রমাণ থাকলে তা দেখাতে বলা হোক।"
সদর থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান জানান, "বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। আমরা অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
এই সংঘর্ষের ঘটনা আন্দোলনের অভ্যন্তরীণ বিভাজন এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা প্রকাশ করে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।