ভোলা জেলখানার দূর্ণীতিগ্রস্থ জেল সুপার দিদারুল আলমের প্রত্যাহারের দাবীতে অবস্থান কার্মসূচী ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ভূক্তভোগী করারক্ষীরা। মঙ্গলবার রাতে ভোলা জেলা কারগারের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করা হয়েছে।
এসময় কারারক্ষিরা অভিযোগ করে বলেন, ভোলা জেলা কারাগারটি দূর্ণীতির আখরায় পরিনত করেছে জেল সুপার দিদারুল আলম। সে আসামী ও কারারক্ষীদের জিম্মি ও বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার করে প্রতি মাসে প্রায় দশ লাখ টাকা অবৈধ বাণিজ্য অব্যাহত রেখেছে। এ ভাবে সে অবৈধ ভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে।
তারা আরো অভিযোগ করে বলেন, জেল সুপার দিদারুল আলমের অবৈধ নির্দেশ পালন না করলে সে সাধারণ কারারক্ষীদের উপর নির্মম ভাবে জুলুম অত্যাচার চালায়। তাদেরকে অতিরিক্ত হয়রানি মূলক ডিউটি করতে বাধ্য করে । এমনকি কারারক্ষিদের স্বজনরা মারা গেলে তাদেকে ছুটি নিতেও জেল সুপারকে টাকা দিতে হয় বলে অভিযোগ করেণ তারা।
অভিযোগে আরো বলেন, জেলখানার ভিতরের ক্যান্টিন ও বাহিরের ক্যন্টিনে দায়িত্বেরত কারারক্ষিদের কাছ থেকে সে ৩/৪ লাখ টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছেন। অন্যদিকে বন্ধি আসামীদের কাছে ক্যান্টিনের সকল মালামাল উচ্চ মূল্যে বিক্রি করতে বাধ্য করা হয় কারারক্ষিদের। নতুন আসামীরা টাকা না দিলে তাদেরকে ঘুমানোর সিট দেয়া হয়না এবং তাদের উপর নানা ভাবে অত্যাচার করার হয়। সরকারি নিয়ম অনুসারে অসামীদের প্রাপ্য খাবার তালিকার তোয়াক্কা না করে সে তার খেয়াল খুশি মতো নিন্ম মানের খাবার ও অল্প খাবার পরিবেশন করে আসামীদের মাঝে। অন্যদিকে টাকা নিয়ে সুস্থ্য আসামীদের হাসপাতালে সিট দেয় এবং টাকা না দিলে অসুস্থ্য আসামীদের হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়া হয়।
এসময় কারারক্ষীদের বিক্ষোভের সংবাদ শুনে জেলখানায় ছুটে আসেন ভোলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তামীম আল ইয়ামিন। তিনি জানান, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে জেল সুপার দিদারুল আলমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জেল সুপার দিদারুল আলম বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।