বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা গতকাল রাতে এক অপ্রত্যাশিত ঘোষণায় নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছেন। এই ঘোষণা বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে প্রচারিত একটি লাইভ ভিডিওতে এই দাবি উত্থাপন করা হয়। ভিডিওতে সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম জানান, "আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সর্বজন গ্রহণযোগ্য ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এবং নোবেল পুরস্কারজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে সরকার গঠনের দাবি জানাই।"
নেতৃবৃন্দ দাবি করেছেন যে তারা ইতিমধ্যে ড. ইউনূসের সাথে যোগাযোগ করেছেন এবং তিনি এই প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন। তবে, এই দাবির সত্যতা যাচাই করা যায়নি।
আন্দোলনের নেতারা রাষ্ট্রপতির কাছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা আরও বলেছেন যে সরকার গঠনের পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা ও অন্যান্য সদস্যদের নাম শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে।
এই ঘোষণার পাশাপাশি, নেতারা দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত নাশকতা ও লুটপাটের ঘটনার প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা এসব কর্মকাণ্ডকে তাদের আন্দোলনকে বানচাল করার চেষ্টা হিসেবে অভিহিত করেছেন।
বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক মহলে এই ঘোষণা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। সরকারি দলের পক্ষ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ঘটনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন একটি মোড় নিতে পারে।
পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তনশীল এবং আগামী দিনগুলোতে এর প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া লক্ষণীয় হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।