হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জগদীশপুর যোগেশ চন্দ্র হাই স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে অনিয়মতান্ত্রিক উপায়ে নিয়োগ অনুমোদনের সকল কার্যক্রম পরিচালনা না করতে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেয় সহকারী জজ আদালত, মাধবপুর, হবিগঞ্জ।
মোকদ্দমা সূত্রে জানা যায়, গত ৭ জুন জগদীশপুর যোগেশ চন্দ্র হাই স্কুল এন্ড কলেজে সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে অনিয়মকে সঙ্গে করেই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২৯ জন গভর্নিং বডির সভায় প্রধান শিক্ষক সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ অনুমোদনের বিষয়টি উত্থাপন করলে বিভিন্ন অনিয়মের কথা উল্লেখ করে অধিকতর ভাল শিক্ষকের প্রয়োজনে গভর্নিং বডির ৭জন সদস্য লিখিতভাবে অসম্মতি প্রদান করে। এতেকরে হট্টগোলের সৃষ্টি হয় এবং প্রধান শিক্ষক অসুস্থতার ভান করে পড়ে যাওয়ায় সভার কার্যক্রম এখানেই সমাপ্ত হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ২৫ জুলাই প্রধান শিক্ষক নুরুল্লাহ ভূইয়া আলমগীর হোসেন নামের এক প্রার্থীকে ফোন করে ডেকে এনে অনিয়মতান্ত্রিক উপায়ে নিয়োগ পত্র প্রদান করেন। এই অন্যায় নিয়োগে বিদ্যালয় এবং ছাত্র ছাত্রীদের অপূরনীয় ক্ষতি থেকে রক্ষা করবার জন্য গত ২৮ জুলাই এখলাছুজ্জামান ভূইয়াসহ অন্যান্য সদস্যরা বাদী হয়ে হবিগঞ্জের সহকারী জজ আদালতে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করার জন্য মোকদ্দমা দায়ের করেন এবং ২৯ জুলাই আদালত স্থগিতাদেশ জারী করেন। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় এই নিয়োগে বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষক-কর্মচারী, গভর্নিং বডির অধিকাংশ সদস্য এবং এলাকার সুশীল সমাজ অসন্তোষ প্রকাশ করে।
গভর্নিং বডির শিক্ষানুরাগী সদস্য এখলাছুজ্জামান ভূইয়া জানান, সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য রেজুলেশনের প্রয়োজন হয় আর রেজুলেশনটি অনুমোদিত হয় অধিকাংশ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে। কিন্তু বর্তমান সভাপতি নাসির উদ্দিন খান এবং প্রধান শিক্ষক নুরুল্লাহ ভূঁইয়া আমাদের অধিকাংশের মতামত কে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে বেসরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রবিধানকে উপেক্ষা করে এই নিয়োগপত্র প্রদান করেন।
আলমগীর হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে নিয়োগ পত্র প্রাপ্তির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন আগামী ৩০ জুলাই আমি যোগদান করব।
প্রধান শিক্ষক নুরুল্লাহ ভূইয়ার সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। অন্য মোবাইল নম্বর থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি ব্যস্ত আছি।
প্রতিষ্ঠানের সভাপতি নাসির উদ্দিন খানের সাথে বারবার যোগাযোগ করা হলে ও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সিরাজুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এই বিষয়ে আমি অবগত নই।