দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে আজ বুধবার একটি অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে। উত্তর কোরিয়া থেকে পাঠানো বর্জ্য-আবর্জনাভর্তি বেশ কয়েকটি বেলুন এসে নেমেছে প্রেসিডেন্টের দপ্তরের কাছে। এই ঘটনা নিশ্চিত করেছেন দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা।
প্রেসিডেন্টের দপ্তরের কম্পাউন্ডের উপর দিয়ে কোনো কিছু উড়ানো নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও এই প্রথমবারের মতো এমন ঘটনা ঘটল। প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা সার্ভিস জানিয়েছে, বেলুনগুলো সংগ্রহের জন্য একটি দল পাঠানো হয়েছিল। তারা নিশ্চিত করেছে যে এই বর্জ্যের সাথে কোনো দূষণ বা নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই।
দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়নহাপের রিপোর্ট অনুযায়ী, সেনাসদস্যরা বেলুনগুলোকে গুলি করেননি। তাদের উদ্বেগ ছিল যে গুলি করলে বর্জ্য চারপাশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। শুধু প্রেসিডেন্টের দপ্তরের কাছে নয়, সিউলের বিভিন্ন অংশেও এই ধরনের বেলুন দেখা গেছে।
সরকারি কর্মকর্তারা জনসাধারণকে এই বেলুনগুলো স্পর্শ না করার জন্য সতর্ক করেছেন। তারা নাগরিকদের অনুরোধ করেছেন যে কেউ এই ধরনের বেলুন দেখলে স্থানীয় সেনা ইউনিট বা পুলিশ স্টেশনে জানাতে।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ জানিয়েছেন, বেলুনগুলো পশ্চিম দিক থেকে বাতাসে ভেসে এসেছে। ধারণা করা হচ্ছে এগুলো দক্ষিণ কোরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় জিওংগি প্রদেশকে লক্ষ্য করে পাঠানো হয়েছিল, যেখানে দেশের রাজধানী অবস্থিত।
এই ঘটনা ঘটেছে উত্তর কোরিয়া সীমান্তে উচ্চ শব্দে অপপ্রচার শুরু করার কয়েক দিন পর। চলতি বছর এটি দশম বার যে উত্তর কোরিয়া এই ধরনের কার্যকলাপ চালিয়েছে। তাদের দাবি, এটি দক্ষিণ কোরিয়ার অধিকারকর্মীদের পাঠানো বেলুনের পাল্টা জবাব।
কোরিয়ান যুদ্ধের সময় থেকেই উভয় দেশ অপপ্রচারের জন্য বেলুন ব্যবহার করে আসছে। তবে চলতি বছর এর পরিমাণ বেড়েছে, গত মে মাস থেকে উত্তর কোরিয়া হাজারো বেলুন পাঠিয়েছে।
এই ঘটনা দুই কোরিয়ার মধ্যে চলমান উত্তেজনা এবং জটিল সম্পর্কের আরেকটি উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।